সমাজ ও পরিবেশের সাথে হিসাবব্যবস্থার সম্পর্ক।
হিসাববিজ্ঞান শুধু মুনাফা নির্ণয়ের জন্যই ব্যবহার করা হয় না। মুনাফা নির্ণয়ের পাশাপাশি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সমাজ এবং পরিবেশের যাতে কোনো রকম ক্ষতি না হয়, হিসাববিজ্ঞান সেদিকটাতেও অবদান রাখে।
১. জলবায়ুদূষণ রোধ: দূষণ কমাতে ব্যয় ও হিসাব রাখা।
জলবায়ুদূষণ রোধে প্রতিষ্ঠান কিছু অর্থ খরচ করবে এবং হিসাবরক্ষক তার হিসাব রাখবে এবং সে হিসাব থেকে বোঝা যাবে ব্যবসার মালিক সমাজ এবং পরিবেশ সম্পর্কে কতটুকু সজাগ। বিশেষ করে তেল কোম্পানিগুলো বায়ুদূষণ রোধে অনেক ব্যয় করে থাকে।
২. পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ: শিল্পবর্জ্য প্রতিরোধে ব্যয় ও সরকারি নিয়ম মানা।
শিল্প-কারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়া আশপাশের পরিবেশ ও মানবস্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। ব্যবসায়ের মালিক ও হিসাবরক্ষককে এই প্রতিরোধে অর্থ খরচ করতে হয়, হিসাব রাখতে হয় এবং এ বিষয়ে সরকারের নিয়মনীতি অনুসরণ করে চলতে হয়।
৩. স্বাস্থ্যসম্মত উৎপাদন: দূষণহীন কাঁচামাল, কম বিদ্যুৎ ব্যবহার ও সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যয় হিসাব।
পণ্য তৈরিতে স্বাস্থ্যসম্মত কাঁচামাল ব্যবহার করা হয়, যথাসম্ভব কম বিদ্যুৎ খরচ করা হয়, যন্ত্রপাতি শব্দ কম হতে হয় এবং আবর্জনা সঠিক স্থানে ফেলতে হয়। এসব কাজ করার জন্য কিছু অর্থ খরচ হয়। হিসাবরক্ষককে এ খরচের জন্য অর্থ বরাদ্দের পাশাপাশি ব্যয় অর্থের যথাযথ হিসাবও রাখতে হয়।
৪. সামাজিক দায়বদ্ধতা: সমাজের জন্য ব্যয়, যেমন- গরিব শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের হিসাব রাখা।
প্রতিটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে সামাজিক দায়িত্ববোধের অংশ হিসেবে সমাজের জন্য কিছু খরচ করতে হয়, যেমন- গরিব ও মেধাবী ছাত্রদের বৃত্তি প্রদান। এ জন্য প্রতিষ্ঠান কত টাকা খরচ করল তার হিসাবও রাখে।
Commerce Clan এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url