নগদ প্রাপ্তি জাবেদা প্রস্তুতের নিয়ম

নগদ প্রাপ্তি জাবেদা কি?

যে বিশেষ জাবেদায় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সকল নগদ, ATM, চেক বা ব্যাংক এর প্রাপ্তির টাকা হিসাব ভুক্ত করা হয় তাকে নগদ প্রাপ্তি জাবেদা বলে।

নগদ প্রাপ্তি জাবেদা প্রস্তুতের জন্য কি কি জানতে হবে?

  • কি কি আসবে
  • কি কি আসবে না
  • নগদ প্রাপ্তি জাবেদার ছক
  • কিভাবে পোস্টিং করতে হবে

নগদ প্রাপ্তি জাবেদায় কোন কোন লেনদেন আসে?

  • নগদ অর্থ প্রাপ্তি
  • চেক / ব্যাংক/ ATM এ অর্থ  প্রাপ্তি 

নগদ প্রাপ্তি জাবেদায় কোন লেনদেন আসে না?

  • ধারে লেনদেন
  • অনগদ লেনদেন
  • ব্যালেন্স/ জের / হতে নগদ
  • কন্ট্রা এন্ট্রি

নগদ প্রাপ্তি জাবেদার ছক


নগদ প্রাপ্তি জাবেদায় হিসাব পোস্টিং এর নিয়মঃ

১. তারিখ: জাবেদার প্রথম কলামে লেনদেনটি যে তারিখে ঘটেছে, সেই তারিখটি লিখতে হবে।

২. হিসাবের নাম (ক্রেডিট): যে হিসাব থেকে টাকা পাওয়া গেছে, তার নাম এই কলামে লিখতে হবে। যেমন, যদি দেনাদারের কাছ থেকে টাকা পাওয়া যায়, তাহলে তার নাম লিখতে হবে। যদি অন্য কোনো উৎস, যেমন মূলধন, ঋণ বা সুদ থেকে টাকা আসে, তাহলে সেই উৎসের নাম লিখতে হবে।

৩. নগদান কলাম: নগদে যত টাকা পাওয়া গেছে, সেই পরিমাণ এখানে লিখতে হবে।

৪. প্রদত্ত বাট্টা কলাম: যদি প্রাপ্য হিসাবের পাওনা আদায়ের সময় কাউকে কোনো ছাড় (বাট্টা) দেওয়া হয়, তাহলে সেই বাট্টার পরিমাণ এই কলামে লিখতে হবে।

৫. বিক্রয় কলাম: নগদে পণ্য বিক্রয় করে যে পরিমাণ টাকা পাওয়া গেছে, তা এই কলামে লিখতে হবে।

৬. প্রাপ্য হিসাব কলাম: প্রাপ্য হিসাব থেকে যে টাকা পাওয়া গেছে, তার সাথে প্রদত্ত বাট্টার পরিমাণ যোগ করে মোট টাকা এই কলামে লিখতে হবে।

৭. অন্যান্য হিসাব কলাম: নগদ বিক্রয় বা প্রাপ্য হিসাব থেকে প্রাপ্ত টাকা ছাড়া অন্য কোনো উৎস (যেমন, মূলধন আনায়ন, ঋণ গ্রহণ, স্থায়ী সম্পদ বিক্রয়, সুদ প্রাপ্তি ইত্যাদি) থেকে টাকা আসলে সেই পরিমাণ এই কলামে লিখতে হবে।

নগদ প্রাপ্তি জাবেদার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

  • ব্যাংক লেনদেন: নগদ প্রাপ্তি জাবেদায় নগদ এবং চেকের মাধ্যমে প্রাপ্ত উভয় ধরনের লেনদেনই অন্তর্ভুক্ত হবে। যেমন, ব্যাংক থেকে কোনো সুদ পাওয়া গেলে তা এই জাবেদায় লিখতে হবে।

  • কন্ট্রা এন্ট্রি: নগদ প্রাপ্তি জাবেদায় কোনো কন্ট্রা এন্ট্রি (যেখানে একটি হিসাব ডেবিট ও অন্যটি ক্রেডিট হয়, যেমন ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন) অন্তর্ভুক্ত হবে না। কারণ এতে ব্যবসার মোট নগদ টাকার পরিমাণ পরিবর্তন হয় না।

  • প্রারম্ভিক ব্যালেন্স: ব্যবসার শুরুতে থাকা নগদ তহবিল বা ব্যাংকে জমানো টাকা (প্রারম্ভিক ব্যালেন্স) এই জাবেদায় লেখা হয় না। তবে নতুন করে ব্যবসা শুরু করার সময় যে মূলধন আনা হয়, তা লেখা যায়।

নগদ প্রাপ্তি জাবেদায় ব্যবহৃত প্রামাণ্য দলিল

  • ভাউচারঃ নগদ ক্রয়ের ক্ষেত্রে
  • চেকঃ ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধের ক্ষেত্রে
  • রসিদঃ অন্যান্য নগদ প্রদানের ক্ষেত্রে, যেমন বেতন, ভাড়া পরিশোধ ইত্যাদি ক্ষেত্রে
  • ব্যাংক স্টেটমেন্টেরঃ সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রদান এর ক্ষেত্রে

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Commerce Clan এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৫

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৬