"T ছকে" খতিয়ান প্রস্তুত : ৪ ধাপে ৫ মিনিটে খতিয়ান

১. ছক আঁকা শেখা
২. হিসাব নির্ণয় করা ও ডেবিট ক্রেডিট নির্ণয় করা
৩. ডেবিট ক্রেডিট অনুযায়ী হিসাব পোস্টিং করা
৪. ব্যালেন্স/ জের/ উদ্বৃত্ত নির্ণয় করা

১. T ছক আঁকার নিয়ম

খতিয়ানের জন্য দুটি প্রধান ছক ব্যবহার করা হয়:

 * 'T' ছক: এটি সবচেয়ে সরল ছক। এর বাম পাশ ডেবিট এবং ডান পাশ ক্রেডিট।

   ------------------------------------------------------------------

| ডেবিট পাশ | ক্রেডিট পাশ

|----------------------------------------------------|----------------------------------------------------

| তারিখ | বিবরণ | জাবেদা পৃষ্ঠা | টাকা | তারিখ | বিবরণ | জাবেদা পৃষ্ঠা | টাকা

|-------|--------|---------------|--------------------|-------|--------|---------------|--------------------

| | | | | | | |

------------------------------------------------------------------

২. লেনদেন থেকে হিসাব নির্ণয় করার নিয়ম

প্রত্যেকটি লেনদেন থেকে সংশ্লিষ্ট হিসাবগুলো খুঁজে বের করতে হবে। যেমন:

 * নগদ পণ্য ক্রয় করা হলে দুটি হিসাব আসে: ক্রয় হিসাব এবং নগদান হিসাব।

 * বেতন প্রদান করা হলে দুটি হিসাব আসে: বেতন হিসাব এবং নগদান হিসাব।

৩. হিসাবের ডেবিট ক্রেডিট নির্ণয় করা

হিসাবের প্রকারভেদের ওপর ভিত্তি করে ডেবিট ও ক্রেডিট নির্ণয় করা হয়। হিসাব প্রধানত পাঁচ প্রকার:

 * সম্পদ: বৃদ্ধি পেলে ডেবিট, হ্রাস পেলে ক্রেডিট।

 * দায়: বৃদ্ধি পেলে ক্রেডিট, হ্রাস পেলে ডেবিট।

 * আয়: বৃদ্ধি পেলে ক্রেডিট, হ্রাস পেলে ডেবিট।

 * ব্যয়: বৃদ্ধি পেলে ডেবিট, হ্রাস পেলে ক্রেডিট।

 * মালিকানা স্বত্ব: বৃদ্ধি পেলে ক্রেডিট, হ্রাস পেলে ডেবিট।

উদাহরণস্বরূপ, যখন আপনি নগদ পণ্য ক্রয় করেন:

 * ক্রয় (ব্যয়) বৃদ্ধি পায় , ক্রয় হিসাব ডেবিট।

 * নগদ (সম্পদ) হ্রাস পায় , নগদান হিসাব ক্রেডিট।

৪. T ছকে হিসাব পোস্টিং করার নিয়ম

জাবেদা বই থেকে প্রতিটি লেনদেনকে তার নির্দিষ্ট খতিয়ান হিসাবে স্থানান্তর করাকে পোস্টিং বলে।

 * ডেবিট পোস্টিং: যদি কোনো হিসাবে ডেবিট করতে হয়, তাহলে সেই হিসাবের খতিয়ানের ডেবিট পাশে তথ্যগুলো লিখুন (তারিখ, বিপরীত হিসাবের নাম, জাবেদা পৃষ্ঠা নম্বর এবং টাকার পরিমাণ)।

 * ক্রেডিট পোস্টিং: যদি কোনো হিসাবে ক্রেডিট করতে হয়, তাহলে সেই হিসাবের খতিয়ানের ক্রেডিট পাশে তথ্যগুলো লিখুন (তারিখ, বিপরীত হিসাবের নাম, জাবেদা পৃষ্ঠা নম্বর এবং টাকার পরিমাণ)।

৫. T ছকে ব্যালেন্স/জের/উদ্বৃত্ত নির্ণয় করার নিয়ম 

মাস বা নির্দিষ্ট সময় শেষে প্রতিটি খতিয়ান হিসাবের ডেবিট ও ক্রেডিট দিকের যোগফল নির্ণয় করে পার্থক্য বের করতে হয়। এই পার্থক্যই হলো ব্যালেন্স বা জের।

 * যদি ডেবিট দিকের যোগফল বেশি হয়, তবে সেটি ডেবিট জের।

 * যদি ক্রেডিট দিকের যোগফল বেশি হয়, তবে সেটি ক্রেডিট জের।

এই জেরগুলোই পরবর্তীতে রেওয়ামিল প্রস্তুত করতে ব্যবহৃত হয়।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Commerce Clan এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url