ক্রয় জাবেদা নির্ণয়ের নিয়ম
ক্রয় জাবেদা কী?
ক্রয় জাবেদা হলো একটা বিশেষ হিসাবের বই বা খাতা, যেখানে শুধু বাকিতে কেনা জিনিসপত্র রেকর্ড করা হয়। সহজ কথায়, যখন আপনি কোনো পণ্য এখন কিনছেন কিন্তু টাকা দিচ্ছেন পরে, সেই লেনদেনগুলোই এই খাতায় লেখা হয়।
ক্রয় জাবেদা কখন তৈরি করা হয়?
যখনই কোনো কিছু বাকিতে কেনা হয়, তখন বিক্রেতা একটা চালান দেন। এই চালানের তথ্যগুলো ব্যবহার করেই ক্রয় জাবেদায় সব কিছু লেখা হয়। চালানটা একটা প্রমাণপত্র, যেখানে লেখা থাকে কী কী জিনিস কেনা হলো, কত পরিমাণে, কত দামে, আর মোট কত টাকা বাকি আছে।
ক্রয় জাবেদার উদ্দেশ্য কী?
ক্রয় জাবেদা রাখার মূল উদ্দেশ্য হলো বাকিতে কেনা পণ্য বা সেবার একটা গোছানো রেকর্ড রাখা। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এটা আপনাকে বাকিতে করা কেনাকাটার একটা নির্ভুল, বিস্তারিত আর সহজে ব্যবহার করার মতো রেকর্ড দেয়। এটা ব্যবসার আর্থিক দিকটা সামলাতে দারুণ সাহায্য করে।
ক্রয় জাবেদা তৈরির নিয়ম:
১. ছক তৈরি:
প্রথমে ক্রয় জাবেদার একটা নির্দিষ্ট ছক তৈরি করতে হবে। এই ছকে তারিখ, চালানের বিবরণ, বিক্রেতার নাম, শর্ত (যদি থাকে), আর মোট টাকার জন্য আলাদা কলাম থাকবে।
২. লেনদেন চিহ্নিত করা:
শুধুমাত্র বাকিতে কেনা পণ্যের লেনদেনগুলো খুঁজে বের করতে হবে। নগদ কেনা জিনিস এখানে আসবে না।
৩. লেনদেন পোস্টিং:
খুঁজে বের করা প্রতিটি বাকিতে কেনার লেনদেন চালানের তথ্য অনুযায়ী ক্রয় জাবেদার ছকে সঠিকভাবে লিখতে হবে। প্রতিটা কেনার জন্য বিক্রেতার নাম, চালানের নম্বর, কেনার মূল্য ইত্যাদি তথ্য সঠিক কলামে লিখতে হবে।
আপনার কি ক্রয় জাবেদা বা হিসাবের অন্য কোনো অংশ নিয়ে আরও কিছু জানতে চান?
Commerce Clan এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url