তিন ঘরা নগদান বই প্রস্তুতের নিয়ম
তিন ঘরা নগদান বই কি?
তিন ঘরা নগদান বই হলো এমন একটি হিসাবের বই, যেখানে নগদ, ব্যাংক এবং বাট্টা সংক্রান্ত সকল প্রকার লেনদেন লিপিবদ্ধ করা হয়। এই বইতে নগদ এবং ব্যাংকের পাশাপাশি একটি বাট্টার কলামও যুক্ত থাকে। এর মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময়ে নগদ ও ব্যাংক জমার পরিমাণ, বাট্টার প্রাপ্তি ও প্রদান এবং সবশেষে এদের চূড়ান্ত জের সম্পর্কে জানা যায়।
১. তিন ঘরা নগদান বইয়ের ছক
২. হিসাব পোস্টিং করার নিয়ম
তিন ঘরা নগদান বই এর নগদ ও ব্যাংক কলাম দুই ঘরা নগদান বইয়ের নিয়মেই পোস্টিং করতে হবে ভিন্ন কোন নিয়ম নেই তাই নিচে শুধু বাট্টা কলামের পোস্টিং এর নিয়ম দেয়া হলঃ
- ডেবিট দিক (প্রাপ্তি): দেনাদার থেকে যখন চেক বা নগদ টাকা পাওয়া যায় তখন যদি বাট্টা প্রদান বা পূর্ণ নিস্পত্তি কথাটি উল্লেখ থাকে তাহলে প্রদত্ত বাট্টা ডেবিট দিকের বাট্টা কলামে লিখতে হবে।
- ক্রেডিট দিক (প্রদান): পাওনাদারকে কে যখন চেক বা নগদ টাকা দেয়া হয় তখন যদি বাট্টা প্রাপ্তি বা পূর্ণ নিস্পত্তি কথাটি উল্লেখ থাকে তাহলে প্রাপ্ত বাট্টা ক্রেডিট দিকের বাট্টা কলামে লিখতে হবে।
সহজ কথায় ডেবিট (প্রাপ্তি) দিকে প্রদত্ত বাট্টা অন্যদিকে ক্রেডিট (প্রদান) দিকে প্রাপ্ত বাট্টা লিখতে হবে।
৩. ব্যালেন্স বা জের নির্ণয়
এটি দুই ঘরা নগদান বইয়ের মতোই, শুধু এখানে একটি অতিরিক্ত বাট্টা (Discount) কলাম থাকে। বাট্টা কলামের কোনো ব্যালেন্স হয় না, তাই শুধু নগদ এবং ব্যাংক কলামের জের নির্ণয় করতে হয়। (এখানে নগদ ও ব্যাংক কলামের জের নির্ণয়ের মূল কথাটি বলা হলঃ বিস্তারিত শিখতে আগের পোস্টটি দেখ অথবা এই লেখাটিতে ক্লিক কর।)
ক. নগদ কলামের ব্যালেন্স নির্ণয়ঃ
নগদান কলামের টাকা সব সময় ডেবিট (প্রাপ্তি) দিকেই বড় হবে। কারন প্রদান কখনই প্রাপ্তি থেকে বড় হবে না। তাই মোট যে টাকা এসেছে (ডেবিট), তা থেকে যে টাকা খরচ হয়েছে (ক্রেডিট) সেটা বাদ দিলেই হাতে থাকা নগদ টাকা (ব্যালেন্স) বের হয়ে যাবে।
খ. ব্যাংক কলামের ব্যালেন্স নির্ণয়ঃ
ব্যাংক কলামের ক্ষেত্রে ডেবিট এবং ক্রেডিট উভয় দিকেই জের থাকতে পারে।
যদি ডেবিট দিকের যোগফল বেশি হয়:
সহজ কথায়, ডেবিট দিকের ব্যাংক কলামের মোট যোগফল থেকে ক্রেডিট দিকের ব্যাংক কলামের মোট যোগফল বাদ দিয়ে ব্যাল্যান্স সি/ডি (c/d) নির্ণয় করে ক্রেডিট দিকের ব্যাংক কলামে লিখতে হয়।
যদি ক্রেডিট দিকের যোগফল বেশি হয়:
সহজ কথায়, ক্রেডিট দিকের ব্যাংক কলামের মোট যোগফল থেকে ডেবিট দিকের ব্যাংক কলামের মোট যোগফল বাদ দিয়ে ব্যাল্যান্স সি/ডি (c/d) নির্ণয় করে ডেবিট দিকের ব্যাংক কলামে লিখতে হয়।
গ. বাট্টা কলামের ব্যালেন্স নির্ণয়ঃ
বাট্টা কলামের কোনো ব্যালেন্স হয় না। শুধু মোট প্রাপ্ত বাট্টা ও প্রদত্ত বাট্টা নির্ণয় করতে হয়।
- ডেবিট দিকের বাট্টা কলামের যোগফলকে প্রদত্ত বাট্টা এবং ক্রেডিট দিকের বাট্টা কলামের যোগফলকে প্রাপ্ত বাট্টা বলা হয়।
Commerce Clan এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url