খতিয়ান
খতিয়ান কি?
জাবেদায় লিপিবদ্ধকৃত লেনদেনসমূহকে আলাদা আলাদা শিরোনামের হিসাবের ছকে স্থায়ীভাবে লিপিবদ্ধ করার প্রক্রিয়াকে খতিয়ান বলে ।
হিসাববিজ্ঞানের একটি অপরিহার্য অংশ হলো খতিয়ান। কোনো প্রতিষ্ঠানের সব আর্থিক লেনদেন প্রাথমিকভাবে জাবেদায় লিপিবদ্ধ করা হয়। সেই জাবেদা থেকে প্রতিটি লেনদেনকে আলাদা আলাদা শিরোনামে বা হিসাবে সাজিয়ে খতিয়ানে স্থায়ীভাবে লেখা হয়।
খতিয়ানের ছক কয় প্রকার?
খতিয়ানের ছক ২ প্রকার।খতিয়ানের 'T' ছকঃ
'T' ছক পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে একটি T-আকৃতির ছক ব্যবহার করা হয়। এর বাম দিককে ডেবিট (Debit) এবং ডান দিককে ক্রেডিট (Credit) বলা হয়।
খতিয়ানের জের ছকঃ
চলমান জের ছক পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে প্রতিটি লেনদেনের পরেই হিসাবের জের বা ব্যালেন্স বের করা হয়। এটি আধুনিক এবং বহুল প্রচলিত একটি পদ্ধতি।
খতিয়ান কয় প্রকার ও কি কি ?
খতিয়ান দুই প্রকার। যথাঃ
মূল খতিয়ান (General Ledger): এতে প্রতিষ্ঠানের সব লেনদেনের সংক্ষিপ্ত এবং সামগ্রিক হিসাব থাকে, যেমন — নগদ, বিক্রয়, ক্রয়, বেতন, মূলধন, ঋণ ইত্যাদি।
সহকারী খতিয়ান (Subsidiary Ledger): এতে মূল খতিয়ানের কোনো নির্দিষ্ট হিসাবের বিস্তারিত বিবরণ থাকে। যেমন — পাওনাদার বা দেনাদারদের আলাদা আলাদা হিসাব।
মূল খতিয়ানঃ
সকল দেনাদার হিসাব ও সকল পাওনাদার হিসাব এবং অন্যান্য যাবতীয় হিসাব প্রস্তুত করা হলে তাকে মূল খতিয়ান বলে।
সহকারী খতিয়ানঃ
নিদ্রিস্ট দেনাদার ও নিদ্রিস্ট পাওনাদার এর লেনদেন এর হিসাব করা হলে তাকে সহকারী খতিয়ান বলে।
Commerce Clan এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url